মাধ্যমিক তথ্যের উৎস

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - পরিসংখ্যান - পরিসংখ্যান ১ম পত্র | NCTB BOOK

মাধ্যমিক তথ্যের উৎস (Secondary Sources of Information) হলো এমন তথ্য যা সরাসরি পর্যবেক্ষণ বা প্রাথমিকভাবে সংগৃহীত হয়নি বরং পূর্বে সংগৃহীত তথ্যকে পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত গবেষণা, বিশ্লেষণ বা পুনর্ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। মাধ্যমিক তথ্যের উৎস নিম্নলিখিত হতে পারে:


সরকারি প্রতিবেদন

সরকারি সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট এবং ডেটা মাধ্যমিক তথ্যের অন্যতম প্রধান উৎস। উদাহরণ:

  • জনশুমারি তথ্য
  • অর্থনৈতিক জরিপ
  • পরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন

বই ও পাঠ্যপুস্তক

বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বই ও পাঠ্যপুস্তক মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস। উদাহরণ:

  • গবেষণামূলক বই
  • একাডেমিক পাঠ্যপুস্তক
  • ইতিহাস ও সংস্কৃতিবিষয়ক বই

গবেষণাপত্র ও জার্নাল

বিভিন্ন গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত পত্রিকা ও জার্নাল মাধ্যমিক তথ্য প্রদান করে। উদাহরণ:

  • একাডেমিক জার্নাল
  • পিয়ার রিভিউ গবেষণাপত্র

সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন

সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ের তথ্য ও বিশ্লেষণ মাধ্যমিক তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ:

  • দৈনিক পত্রিকা
  • সাপ্তাহিক বা মাসিক ম্যাগাজিন

অনলাইন ডেটাবেস ও ওয়েবসাইট

ইন্টারনেট-ভিত্তিক বিভিন্ন ডেটাবেস মাধ্যমিক তথ্যের সহজলভ্য উৎস। উদাহরণ:

  • গুগল স্কলার
  • ডাটাবেজ যেমন JSTOR, PubMed
  • ব্লগ এবং ফোরাম

সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন

বেসরকারি সংস্থা, এনজিও বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত প্রতিবেদন। উদাহরণ:

  • বার্ষিক প্রতিবেদন
  • বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
  • সিভিল সোসাইটির ডেটা

উপাত্ত সংগ্রহের সংকলন

তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সংগৃহীত ও সংকলিত ডেটা। উদাহরণ:

  • বিশ্বব্যাংক ডেটা
  • IMF রিপোর্ট
  • জাতিসংঘের ডেটাবেজ

মধ্যস্থতাকারী সংস্থার প্রতিবেদন

যে সংস্থাগুলো প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে প্রকাশ করে। উদাহরণ:

  • গবেষণা প্রতিষ্ঠান
  • পরিসংখ্যান ব্যুরো
  • থিঙ্ক ট্যাঙ্ক

উপসংহার:

মাধ্যমিক তথ্য সাধারণত প্রাথমিক তথ্য থেকে প্রাপ্ত এবং পুনরায় বিশ্লেষিত। গবেষণা বা অধ্যয়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক তথ্য ব্যবহার করতে গেলে এর উৎসের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।

Content added By
Promotion